শরীর নিয়ে খেলা – – উত্তম চক্রবর্তী।


ক্যাঁচ করে একটা শব্দ করে খাটটা একটু নড়ে উঠল। সৌম্য বুঝতে পারল হেনা এসে বসেছে ওর বিছানায়। এবার হেনা ওর গায়ের চাদর সরিয়ে গেঞ্জিটা খুলে সেটা মাথার পাশে রাখবে আর তারপর ওর পরনের হাফ প্যান্টটা খুলে ফেলবে। এই কাজটা রোজ রাতে হেনাই আগে করে। তারপর ও অপেক্ষা করে থাকে সৌম্যর জন্য। এবার সৌম্যর পালা। হেনা জানে সৌম্য ওর নরম হাতের ছোঁয়ায় জেগে গিয়ে চুপ করে চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভাণ করে পড়ে আছে।


সৌম্য এরপর চোখ খুলেই হেনাকে জাপটে ধরে ফেলে দেয় নিজের উদাম শরীরের উপর। একে একে হেনার ব্লাঊজ, ব্রা, শাড়ি সায়া সবই খুলে ফেলে সৌম্য। ততোক্ষণে ওর আগুন লেগে যাওয়া এক শরীর খিদেটা চাগিয়ে ওঠে। হেনার উন্মুক্ত মুখিয়ে থাকা স্তনাগ্রে হাল্কা একটু কামর মারে , কাঁধের পাশে আর গলায় জিভের ছোঁয়া দিয়ে ওকে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজিত করতে থাকে। হেনার স্তনাগ্র শক্ত হতে থাকে। হেনার মুখ দিয়ে ‘উফ, আহ’ শব্দ বের হতে শোনা যায়। এদিকে সৌম্যর পুরুষাঙ্গ বিদ্রোহীর মত বিপ্লবের পথে ঝাপিয়ে পড়তে উন্মুখ হয়ে থাকে। শুধু যেন একটা ইশারার জন্য অপেক্ষা। সৌম্যর মন চাইলেই সে শরীরী যুদ্ধে মেতে উঠবে।


সৌম্য হেনাকে রোজ রাতে এভাবে আদরে আদরে ভরিয়ে দেয়। সৌম্য জানে হেনা তাকে কতটা ভালোবাসে। এই ফ্ল্যাটে আসবার দিন থেকে ওদের মধ্যে ভাব ভালোবাসা শুরু হয়েছিল। হেনারা দশ তলায় আর সৌম্যরা থাকত ন’তলার কোণের ফ্ল্যাটে। সৌম্যরা বলতে ওর বিধবা মা, সৌম্য আর ওর ছোট বোন দীপা। সৌম্য তখন মাত্র পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে চাকরি পেয়ে মালদহ থেকে কলকাতায় এসেছে। বোনকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে ভিক্টোরিয়া কলেজে বি এ ফার্স্ট ইয়ারে। সূর্য সেন স্ট্রীটের এই ফ্ল্যাট ওর প্রথম দিন হেনাকে দেখেই পছন্দ হয়ে গেছিল। এই ফ্ল্যাটে আসার পরের দিনই হেনাকে ছাঁতে দেখতে পায় সৌম্য।


সময়টা ছিল শীতের সকাল। ভোরের কুয়াশা তখনো কাটে নি। হেনা ইউনিভার্সিটি যাবার আগে স্নান সেরে খালি গায়ে শুধু মাত্র একটা হলুদ তাঁতের শাড়ি জড়িয়ে ছাঁতে ভেজা জামা কাপড় মেলতে এসেছিল। এই সময়ে সাধারণত ছাঁতে কেউই ওঠেনা, আর তার উপর শীতকাল। এদিকে সৌম্যর ছেলে বেলা থেকেই খুব ভোরে ওঠার অভ্যাস। ফ্ল্যাটে ঢুকবার পরদিন ভোরে উঠে ছাঁতের দক্ষিণ দিকে দাঁড়িয়ে ফ্রী হ্যান্ড এক্সারসাইজ করছিল সৌম্য। ছাঁতের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে তখনই সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসে হেনা। হেনা কিন্তু সৌম্যকে দেখেনি। সৌম্য এতো সুন্দর একটা যুবতীকে ছাঁতে ঐ ভোরে উঠে আসতে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।


হেনা ছাঁতের পূব দিকের টাঙ্গানো দড়িতে শাড়ি ব্লাউজ ইত্যাদি মেলতে থাকে। শাড়ির ফাঁক দিয়ে ওর সুগঠিত স্তন পরিষ্কার দেখতে পায় সৌম্য। যেন একজোড়া পদ্ম ফুল বুকে বেঁধে স্বর্গ থেকে কোন পরী নেমে এসেছে ওকে দর্শন দিতে। সৌম্য কতক্ষণ এভাবে হেনার রূপ সুধা পান করছিল মনে নেই, কিন্তু হঠাৎ হেনা সৌম্যকে দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি শাড়ি দিয়ে শরীর ঢেকে লজ্জায় দৌড়ে সিঁড়ির দিকে ছুঁটে পালিয়ে যায়। সৌম্য একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। সৌম্য নিজেও ওদের ন’তলার ফ্ল্যাটে নেমে আসে একটু বাদেই। ঘরে গিয়েও ছাঁতে দেখা মেয়েটির খোলা বুক ওকে আকর্ষণ করতে থাকে। কে মেয়েটি, কী ওর নাম, ও কোন ফ্ল্যাটে থাকে সমস্ত জানতে ইচ্ছা করছিল ওর। আর বোনের সাহায্যে সেটা পেতেও বেশি দেরি হলনা।


সৌম্য আর হেনার প্রেমের শুরু সেখান থেকেই। সৌম্যর মা আর বোনেরও হেনাকে খুব ভাল লেগেছিল। হেনার মামা মামী ওকে ট্রেন এক্সিডেন্টে ওর মা বাবা মারা যাবার পর থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন। তারাও রেলে চাকরি করা এই নির্ঝঞ্ঝাট ছেলের সাথে ভাগ্নির বিয়েতে কোন আপত্তি করেন নি। পরের বছর সৌম্যর বোন শীলার বিয়ে দিয়েই ছয় মাস বাদে সৌম্য বিয়ে করেছিল হেনাকে। বিয়ের পর তিন বছর সৌম্য ওর হেনাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিয়ে প্রেমের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। কিন্তু এরপরেই ওদের দুজনের মাঝে নেমে এলো অশান্তি। আর তার কারণ ছিল হেনার প্রক্তন প্রেমিক বিশাল। সৌম্যর মা বয়সজনিত রোগে মারা যাবার ঠিক চার মাসে বাদেই ওদের দুজনের মাঝে প্রবেশ করে বিশাল।


বিশালের সাথে হেনার ইউনিভার্সিটি থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। এরপর বিশাল চাকরি পেয়ে চলে গেছিল মুম্বাই। সেখান থেকে তিন বছর বাদে ফিরে এসে খোঁজ নিয়ে জেনেছিল যে হেনার বিয়ে হয়ে গেছে। এক বান্ধবীর কাছ থেকে ওর ফ্ল্যাটের ঠিকানা নিয়ে এক নির্জন দুপুরে বিশাল এসে হাজির হয়েছিল হেনাদের ফ্ল্যাটে। সৌম্য তখন অফিসে। হেনা এতদিন বাদে বিশাল ওর কাছে এসেছে দেখেই অবাক হয়ে ওকে ঘরে ঢুকিয়ে অনেক গল্প গুজব করেছিল সেদিন। বিশাল জানায় মুম্বাইতে ওর একটি মারাঠি মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল ঠিকই কিন্তু দুই বছর বাদেই ওদের ডিভোর্স হয়ে গেছিল। মেয়েটি নাকি এখন আবার অন্য একজন মারাঠি ছেলেকে বিয়ে করেছে।
সৌম্য হেনাকে ভীষণ ভালোবাসে এবং হেনাও সৌম্যাকে যথেষ্ট ভালোবাসে। কিন্তু ওদের একটাই সমস্যা হল সৌম্য হেনাকে যৌন সুখ দিতে পারত না। হেমা যখন উত্তেজনার চরমে উঠত ঠিক তখনই সৌম্য ফুরিয়ে যেত আর ঘুমের কোলে ঢুলে পরত। এই নিয়ে কামুক মেয়ে হেনা ভীষণ অশান্তিতে ছিল। কিন্তু এসব নিয়ে কারো সাথে আলোচনা করতে পারতো না। বিশাল ওর পুরানো বন্ধু। চা খেতে খেতে হেনার সাথে কথা বলতে গিয়ে ওর ব্যাক্তিগত জীবনের গণ্ডিতে ঢুকে যায় বিশাল। আর তখনই সে বুঝতে পেরে যায় যে হেমা সৌম্যকে নিয়ে খুশি নয়।


এরপর যা হবার তাই হল। বিশাল ওর বাবার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার একমাত্র উত্তরাধিকারি। ওদের কাপড়ের ব্যবসা বাপ বেটা মিলে দেখাশুনা করে। ওদের বড় বাজারের দোকানে গেলেও হয় না গেলেও হয়। এরপর প্রায় দিনই দুপুরে বিশালকে দেখা যেত হেমার বেডরুমে ওর সাথে লেপটে শুয়ে আছে। বিশালের সুন্দর হ্যান্ড সাম লম্বা চওড়া চেহারার বাহু বন্ধনে হেনা নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায় আর পরকীয়া শরীরী প্রেমে ভাসতে থাকে।


একদিন দুপুরে হঠাৎ বাড়ি ফিরে ফ্ল্যাটের পারকিঙ্গে অন্য একটা গাড়ি রাখা দেখে সৌম্য সিকিউরিটিকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পাড়ে যে এটা হেনা ম্যাডামের বন্ধুর গাড়ি আর প্রায় রোজই উনি এখানে গাড়ি রাখেন। সৌম্যর মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে। ও চলে যায় কাছেই একটা পার্কে। বিকেল কাটিয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এসে এই প্রথম হেনাকে সৌম্য ঘৃণার নজরে দেখতে শুরু করল। হেনা ওর বন্ধুর সাথে ওদেরই বেড রুমে দুপুর বেলা ফষ্টি নষ্টি করছে কল্পনা করে সৌম্য মনে মনে হেনার মত চরিত্রহীন মেয়েকে সরিয়ে ফেলবার প্ল্যান করে ফেলে।


একজন পুরুষ মানুষের আত্ম মর্যাদায় আঘাত পড়েছে। রাস্তার দিকে একটা ব্যালকনি আছে যেটা ওদের মাষ্টার বেড রুমের লাগোয়া। সেই রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সৌম্য ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। রোজকার মত হেনাও এসে পাশে দাঁড়িয়ে আগামী দুর্গা পূজার প্ল্যান কী সেটা বলা শুরু করেছিল। কিন্তু সৌম্য কিছুই শুনছিল না। ওর নজর ছিল সামনের নিচে রাস্তার দিকে। রাস্তায় যখন কাছাকাছি কাউকেই দেখা গেলো না। সৌম্য হাতের সিগারেট ছুঁড়ে নিচে ফেলে দিয়েই হঠাৎ নিচু হয়ে হেনাকে তুলে ধরে ছুঁড়ে নিচের দিকে ফেলে দেয়।


ওদের ফ্ল্যাটের ঠিক নিচের সিমেন্টে বাঁধানো পায়ে হাঁটা পথের উপর গিয়ে পড়ে হেনা। সাথে সাথে মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে আর ওপরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সৌম্য নিশ্চিন্ত হয় যে হেনা আর বেঁচে নেই। ওর প্রতিশোধ নেবার ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। এখন সৌম্য ওর নিজের জীবনটাকে আবার নতুন করে সাজিয়ে নেবে।
সৌম্য কয়েক দিন হেনার ডেড বডি পাওয়া, ফ্ল্যাটে পুলিশের দল আসা, ওকে ইনটারোগেট করা, হাসপাতালে বডি নিয়ে যাওয়া, পোস্ট মর্টেম এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকায় অফিসে আর যেতে পারেনি। প্রায় পাঁচ দিন কেটে যাবার পর পুলিশ যখন দেখল সৌম্যর এই মৃত্যুর পিছনে কোন মোটিভ নেই ; এটা একটা মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যার কেস বলে ওর বানানো গল্পটা মেনে নিয়ে সৌম্যকে এক প্রকার ছেঁড়েই দিল।


হেনার অতৃপ্ত আত্মা কিন্তু সৌম্যকে ছাড়ল না। এখন রোজ রাতেই হেনা এসে সৌম্যর বিছানায় বসে, ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ওর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। সৌম্য বেশ বুঝতে পাড়ে যে হেনা ওকে ছেঁড়ে যেতে পাড়ছে না। কারণ ওদের ভালোবাসার বন্ধনটাতো বেশ মজবুতই ছিল। একটা প্রেতাত্মা এসে অন্ধকার ঘরে ওর দেহের সাথে মিলে মিশে যায় রোজ, কিন্তু সৌম্য জেনেও চুপ করে সেটা উপভোগ করে। ভয় পায়, বাঁধা দিলে যদি হেনা ওর কোন ক্ষতি করে বসে।

সৌম্যর অফিসে একই সাথে চাকরি করে মেঘা দত্ত। বয়সে সৌম্যর চেয়ে দুই বছরের ছোট, হেনার চেয়ে দুই বছরের বড়। মেঘা সৌম্যকে প্রথম দিন থেকেই খুব ভালোবাসে। ওর চোখের সামনেই সৌম্যের বিয়ে হয়, তিন বছর বাদে ওর স্ত্রী আত্মহত্যা করে চলে যায় সবই মেঘাকে বেশ কষ্ট দিতো। হেনার মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে মেঘা সৌম্যের সান্নিধ্যে আসতে থাকে। দুজনের মধ্যে ভাব ভালোবাসা তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না। শেষে চার মাস বাদে এক শনিবার সন্ধ্যায় মেঘা এসে হাজির হয় সৌম্যের ফ্ল্যাটে।

মেঘা জামশেদপুরের মেয়ে। কলকাতায় একটা হোস্টেলে থেকে চাকরি করে। সেই রাতে মেঘা হোস্টেলে ফিরবে না জানিয়ে দেয় সৌম্যকে। সৌম্য ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে রাতের খাবার অর্ডার করে দিলো।
মেঘা চার পাঁচ দিন আগেই সৌম্যকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিয়ের ব্যাপারে সৌম্য কেন জানি একটু আমতা আমতা করেছিল যেটা মেঘার ভাল লাগে নি। আজ মেঘা পরিকল্পনা করে এসেছে সৌম্যর আরও কাছাকাছি আসতে হলে ওর সাথে রাত কাটাতে হবে। ওকে মেঘা ওর সুন্দর নরম শরীর দিয়ে ওর দুরন্ত যৌবন দিয়ে ঘায়েল করবে আজ। সৌম্য বুঝতে পাড়ে এরকম একটা কিছু প্ল্যান করেছে মেঘা। হেনার অত্যাচারে ক্লান্ত সৌম্য হেনার রোজ রাতে এসে ওর সাথে শরীর নিয়ে খেলা করবার পথে মেঘাকে বাঁধা হিসাবে দাঁড় করালে আজ হেনা কী করে সেটাই দেখতে চায়।


রাতের খাবার একসাথে খেয়ে সৌম্যর বেড রুমে ঢুকে দরজা আটকে হেনার একটা ম্যাক্সি বের করে ফ্রেস হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করতে যায় মেঘা। বাথরুমের ঢুকেই মেঘা আয়নায় একটি মেয়ের ছায়া দেখে চমকে ওঠে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ কোথাও নেই। মেঘা ভাবে মনের ভুল। কিন্তু ওর শরীর বেয়ে একটা শিহরণ বয়ে যায় যেন। এক মিনিট চোখ বন্ধ করে আবার তাকায় মেঘা, চোখ দুটো তখন লাল হয়ে আছে। দরজা খুলে বেরিয়ে বসবার ঘরে সৌম্যর একদম গা ঘেঁসে সোফায় বসে ওর সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে থাকে মেঘা। জিজ্ঞাসা করে, ‘আমরা কবে বিয়ে করব সৌম্য ? আমি আর একা একা হোস্টেলে থাকতে চাইনা গো। বাবা মাকে সব জানিয়েছি। ওঁদের কারো কোন আপত্তি নেই। এবার তুমি বললে একদিন বাবা মা আসবে এই বাড়িতে তোমার সাথে কথা বলে আমাদের বিয়ে ফাইনাল করতে।’ কথাটা বলে সৌম্যর একটা হাত নিজের হাতের নিচে ঢুকিয়ে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে বসল মেঘা।


সৌম্য এক মিনিট চুপ করে থেকে হেসে বলল, ‘হেনার মৃত্যুর অন্তত ছয় মাস না হলে আমরা বিয়ে করতে পারব না মেঘা। আমি একজন পণ্ডিতের সাথে আলোচনা করেছি। সেই আমাকে জানিয়েছে যে অন্তত ছয়মাসের শ্রাদ্ধের কাজ ও আত্মাকে পিণ্ড দান না করে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় মেঘা। তুমি আর একটু অপেক্ষা কর সোনা।’


মেঘা কিছু উত্তর না দিয়ে সৌম্যকে জাপটে ধরে ওকে আদর করতে থাকে। চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেয় ওকে। সৌম্যর হাত দুটো নিজের ব্রা হীন বুকের মধ্যে চেপে ধরে। হেনার শরীরের তাপ ছড়িয়ে পড়ে সৌম্যর শরীরে। সৌম্য বেশিক্ষণ নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। মেঘাকে কোলে তুলে নিয়ে চলে আসে ওর বেডরুমে। দেখে মেঘা কোথা থেকে যেন লুকিয়ে গোলাপের পাপড়ি এনে সাড়া বিছানায় ছড়িয়ে দিয়েছে। সমস্ত ঘর একটা অদ্ভুত সুন্দর মিষ্টি গন্ধে ভরে গেছে। সেই গন্ধ ও মেঘার নরম শরীর সৌম্যকে পাগল করে তুলল।


মেঘার শরীর বিছানায় ফেলে সৌম্য নিজের হাফ প্যান্ট খুলতে থাকে। এদিকে মেঘাও নিজেকে সম্পূর্ণ অনাবৃত করে দুই হাত তুলে আহ্বান জানায় সৌম্যকে। সৌম্য ঝাপিয়ে পড়ে মেঘার ওপর। এক মিনিটের মধ্যেই মেঘার উদাম বুকে মুখ ঘসতে দেখা যায় সৌম্যকে। মেঘার স্তনে মুখ রেখে জিভ দিয়ে স্তনাগ্র চুষতে থাকে সৌম্য। মেঘার কানের পাশে, গলায়, বুকে সমানে জিভ দিয়ে লেহন করে ওকে উত্তেজিত করে তোলে। মেঘা যেন আরেক ধাপ ওপরে। সৌম্যর পুরুষাঙ্গ চেপে ধরে নিজের শরীরের সাথে ঘসটাতে থাকে মেঘা। সৌম্যর দেহে আগুন ধরে যায়। মেঘার শরীরের গোপন সুড়ঙ্গে ঢুকে নিজের বীরত্ব দেখাবার চেষ্টা করে সৌম্য। কিন্তু একটু বাদেই সৌম্য শেষ হয়ে যায় আর মেঘার বুকে মুখ গোঁজে। মেঘা ঠিক তখনই ওকে দুই হাতে তুলে বসিয়ে সৌম্যকে অবাক করে দিয়ে গালে একটা ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলো।


মেঘার চোখ দিয়ে তখন আগুন বের হচ্ছিল। ফ্যাস ফ্যাস গলায় মেঘা বলে উঠল, ‘হারামি। আমাকে নিয়ে সখ মিটল না এবার আরেক জনকে নিয়ে এসছিস না ? মেয়েদের শরীরের চাহিদাই মেটাতে পারিস না আর নতুন করে ঘর বাঁধতে সখ হয়েছে তোর ? তুই জানিস না কেন আমি তোকে পছন্দ করতাম না ? একটা রাতেও তুই আমাকে সেই সুখ দিতে পারিস নি, যেটা একটা মেয়ে চায়। তোকে আমি সুখে থাকতে দেব ভেবেছিস ? অপদার্থ কোথাকার।’
মেঘার চেহারা এবং ওর গলার স্বর শুনে চমকে ওঠে সৌম্য। এতো মেঘার শরীরে এখন হেনা ঢুকে বসে আছে ! মেঘা হেনার জীবনের দুঃখের কথা কেন শোনাচ্ছে ওকে ? সৌম্য প্রচণ্ড ভয়ে পেয়ে বিছানায় উঠে বসল। কিন্তু বাছানা থেকে নামলেও ঘরের দরজার দিকে যেতে পারল না। মা কালীর মত সম্পূর্ণ নগ্ন মেঘা রুপী হেনা উঠে এস এক ধাক্কায় ওকে নিয়ে গেল পাশের ব্যালকনির বারান্দায়। সৌম্য ভয়ে হেনার হাত চেপে ধরে বলল, ‘আমাকে ক্ষমা করে দাও হেনা। আমি মরতে চাইনা। প্লিস ক্ষমা করে দাও।’


কিন্তু নেহার চোখে আগুন জ্বলে ওঠে। ‘হারামজাদা, তোর মরাই উচিত…..’ বলেই সৌম্যকে তুলে ঠিক একই ভাবে নিচের দিকে ছুঁড়ে ফেলল নেহা। আর তারপরেই দেখা গেল মেঘা শান্ত ভাবে সৌম্যর ঘরে এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করে দরজাটা টেনে দিয়ে ফ্ল্যাট ছেঁড়ে বেরিয়ে গেল।
পরদিন সকালে পাওয়া গেল সৌম্যর মরদেহ। লোককে বলাবলি করতে শোনা গেল, ‘ইস, বেচারা সৌম্য বাবু, বৌয়ের অকাল মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে শেষে নিজেও আত্মহত্যা করে বসলেন।’
———শেষ———

  • ছবি সৌজন্য – গুগুল।

বন্ধুরা, আমার অন্য লেখাগুলো পড়তে হলে “প্রতিলিপির” বাংলা এপে আমাকে ফলো করুন। ওখানে পাবেন আমার অনেক গল্প এবং উপন্যাস। সেখানে “উত্তম চক্রবর্তী” লিখে সার্চ করলেই আমার প্রোফাইল পেয়ে যাবেন। আরও জানতে হলে আমার ফেস বুক পেজ uttamchblr ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ।