– হট আই ভি – (প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য উপন্যাসিকা)

– উত্তম চক্রবর্তী।

ফাইনালপরীক্ষা হয়ে গেছে, হাতে এখন অঢেল সময়। রীমা আজকাল বেশীরভাগ সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে। শুধু খাওয়া দাওয়ার সময় মা ডাকলে তবেই বাইরে খাবার টেবিলে এসে বসবে। একসাথে বসে খেয়ে আবার নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকাবে। রীমার দাদা রণিত ইঞ্জিনিয়ার, কলকাতায় একটা বিদেশী কোম্পানিতে বড় চাকরী করে। ওর জন্য সম্বন্ধ দেখা চলছে। ওদের বেলুরের বাড়ি থেকে মোটর বাইকে যাতায়াত করে রণিত। বাবা নিরঞ্জন ঘোষাল রাইটার্সে উচু পোস্টে সরকারী চাকরী করতেন, রিটায়ার করে নিজের বাড়িতেই থাকেন, একটু আধটু বাগান করে বই পড়ে সময় কাটান।                                               

সেই জলপাইগুড়ি থেকে আসবার পর থেকে নিরঞ্জন বাবু থাকতেন শিয়ালদায় ভাড়া বাড়িতে। দেশে বাবা মা মারা গেছেন যখন ওঁর কলেজ জীবন চলছে। গ্রাজুয়েট হয়ে চাকরী পেয়েই কলকাতায় আসা। উনত্রিশ বছর বয়সে দেশের বাড়িতেই সম্বন্ধ করে বিয়ে হবার পর থেকেই নিরঞ্জন বাবু শিয়ালদার বৈঠক খানা অঞ্চলের একটা দুই কামরার বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। রাইটার্সে চাকরী করতে করতেই কলকাতার কাছেই শহরের হই হট্টগোল থেকে দুরে বেলুরে বরেন্দ্র পাড়ায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে রিটায়ারের পর বরাবরের মত চলে আসেন।

রীমা দেখতে খুবই সুন্দরী। লম্বা ফর্সা মাথা ভর্তি চুল আর অফুরন্ত যৌবন যেন বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। বড় বড় পটল চেড়া চোখ আর মুখটাও খুব মিষ্টি। আধুনিক সময়ের মেয়ে। পড়ত ভিক্টোরিয়া কলেজে। কলেজ ছাড়াও বান্ধবীদের সাথে রীমার যাতায়াত বেড়ে গেছিল বিভিন্ন ক্লাব আর পার্টিতে। এমনকি রীমা ওর বন্ধুদের বয় ফ্রেন্ডদের সাথে দল বেঁধে এদিক ওদিক বেড়াতেও যেত, বাড়িতে বাবা মাকে মিথ্যা কথা বলে। কখনো বলত বান্ধবীর বিয়ে তো কখনো বলত কলেজ থেকে এক্সকারসনে নিয়ে যাচ্ছে। এসব বলে দীঘা, বক খালি বা সুন্দরবনে গিয়ে বেড়িয়ে এসেছে কয়েক বার। তবে রীমার কিন্তু কোন বয় ফ্রেন্ড নেই, আছে একমাত্র প্রিয় বান্ধবী সুন্দরী মৌমিতা। অন্য বান্ধবীরা যেখানে নিয়ে যেত তাদের বয় ফ্রেন্ডদের, সেইসময়  রীমার জুটি থাকত মৌমিতা।

ওর কোন বয় ফ্রেন্ড না থাকলেও রীমা ছেলেদের নাচাতে খুব ভালোবাসে। কোন ছেলে ওর সাথে প্রেম করতে এগিয়ে এলে রীমা তার সাথে এমন ভাবে প্রেমের অভিনয় শুরু করে দেয় যে ছেলেটার ঘুমের বারোটা বেজে যায় আর রীমার বাড়ির চারপাশে ঘুর ঘুর করতে থাকে। ওকে খুশী করবার জন্য দামী দামী গিফট কিনে দেওয়া বা সীনেমা দেখানো, রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো সবই করে ছেলেরা, কিন্তু রীমা কিছুতেই নিজেকে ধরা দেয়না। সবসময় রীমার সাথে ছায়ার মত লেগে থাকে মৌমিতা। ফলে কিছুদিন বাদেই কোন সুজোগ না পায়ে ছেলেরা কেটে পড়ে আর আবার কোন ছেলে এসে যেচে রীমার ফাঁদে পা দেয়।

কিন্তু রীমা এরকম করে কেন তাহলে ? রীমার মধ্যে কি মন বলে বা যৌন অনুভূতি বলে কোন জিনিষ নেই ? আসলে রীমা একটি অদ্ভুত টাইপের এবং কিছুটা সমকামী ধরনের মেয়ে। মৌমিতার শরীর ওকে ভীষণ টানে। ওরা দুজন যখনই বাইরে বেড়াতে যায় আর একসাথে একই ঘরে থাকে তখন ওরা সম্পূর্ণ উদাম হয়ে দুজন দুজনকে সারারাত ধরে আদর করে। একটা পুরুষ ও মেয়ে মানুষ যেমন দুজনের সান্নিধ্যে এসে শারীরিক স্পর্শের আনন্দ উপভোগ করে থাকে, রীমা আর মৌমিতার ঠিক সেরকম অবস্থা।

মৌমিতাদের নিজেদের বাড়ি মানিকতলায়। মৌমিতার বাবা নেই। মা চাকরী করে সংসার চালান। কলেজ থেকেই রীমার এই বদ অভ্যাসটা হয়েছে। কলেজ ছুটির পর প্রায়ই রীমা মৌমিতার সাথে ওদের বাড়ি চলে যেত আর অনেকক্ষণ দুজন দুজনকে আদর করে জড়াজড়ি করে শুয়ে গল্প করত। দুজনেই ইংরাজি বা বিদেশী সীনেমা দেখে এইসব বদ অভ্যাস রপ্ত করেছে। তেইশ বছরের রীমার বা বাইশ বছরের মৌমিতার অবশ্য পুরুষদের শরীরের প্রতি সেরকম কোন আকর্ষণ নেই। এরা দুজনে একাত্মা এক প্রাণ যেন। ওদের বাবা মা কেউই কিন্তু দুই বন্ধুর এই নেশার ব্যাপারে কোনদিনই কিছু জানতে পারেননি বা কল্পনাও করতে পারেন নি। ওরা দুজন ছাড়া আর কাক পক্ষীতেও জানতো না এসবের ব্যাপারে। 

কলেজের ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে যাবার পর একদিন মৌমিতা এলো রীমার বাড়িতে। বিকেল তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা বাজে, শীতের সন্ধ্যায় চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসছে। রীমা মৌকে দেখেই আনন্দে লাফিয়ে উঠল। জিজ্ঞাসা করল,’কিরে, আজ কিন্তু তোর বাড়ি ফেরা হবে না, মাসীমাকে সেটা বলে এসেছিস তো ? আজ এখানে থেকে কাল বিকেলে বাড়ি ফিরবি। ঠিক আছে মৌ ?’ রীমা প্রথম থেকেই প্রিয় বান্ধবী মৌমিতাকে মৌ বলে ডাকে। মৌমিতা হেসে বলে,’ আমি জানি তো সেটা। মাকে বলেই এসেছি রে।‘

রীমার বাবা মা অনেক দিন পর মৌমিতাকে দেখে খুশী হলেন। অফিস থেকে ফিরে বোনের ঘরে এসে মৌকে হেলো হাই করে গেল রীমার দাদা রণিত। সারা সন্ধ্যা দুই বন্ধু হেসে খেলে আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিল। রাতে ডিনার টেবিলে বসে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে যে যার ঘরে চলে যায়। রীমাও মৌকে নিয়ে দোতলায় নিজের ঘরে এসে দরজা আটকায়। ওদের বাড়ির দোতলায় সিঁড়ির পাশে একটা থাকবার ঘর যেটা আসলে গেস্ট রুম, আরেকটাতে হল রীমার ঘর, ও সেখানে একাই থাকে। বাবা মা আর দাদা সবাই থাকে এক তলায়। রীমার বাড়িতে এই প্রাইভেসি মৌয়ের খুব ভাল লাগে। তাই মৌ কলজে জীবনে বা পরীক্ষার আগে মাঝে মাঝেই রীমার বাড়িতে এসে এক দুইদিন থেকে যেত।

একটু বাদে রাত বারোটার কিছুক্ষন আগে বিছানায় শুয়ে গল্প করতে করতে হটাত রীমা উঠে যায় আর টেবিলে বসে ওর ল্যাপটপ ওপেন করে রেখে দেয়। মৌ একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে,’ কি রে, এখন আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসলি কেন ? ঘুমবি না ?’ রীমার পরনে ছিল ঘরে পরার একটা ম্যাক্সি। মৌকেও ও আসবার পরেই নিজের একটা পাজামা আর টপ দিয়েছিল পরতে। মৌকে অবাক করে দিয়ে রীমা এবার গিয়ে দেওয়াল আলমারি খুলে একটা সুন্দর দামী টপ আর পাজামা পরে নিলো মৌয়ের সামনেই, প্রায় খালি গায়ে হয়ে। সেই মুহূর্তে ওর পরনে ছিল শুধু একটা রঙিন দামী ব্রা আর প্যানটি। মৌ ভাবে ওর ল্যাপটপের কাজ শেষ করেই তো ওকে নিয়ে শুয়ে পড়বার কথা, এখন আবার জামা কাপড় পরবার দরকার হল কেন ? শুধু প্যানটি আর ব্রা পরে থাকলেই তো চলে। মনে মনে খুশী হয় আর ভাবে যে আজ রাতটা ওর অনেকদিন পর দারুণ কাটবে। কিন্তু মৌ জানতো না যে ওর জন্য কি বিরাট একটা বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে।

রীমা প্রথমে ল্যাপটপ টেবিলে বসে ইশারায় মৌকে ওর পাশে এসে বসতে বলল। মৌ অবাক হয়ে বিছানা থেকে নেমে এসে জিজ্ঞাসা করল,’কী বলবি বল। আমার কিন্তু হাই উঠছে। চল শুয়ে পড়ি।‘

রীমা এবার হাত তুলে ওকে মারবার মত ভঙ্গি করে বলে ওঠে,’ তুই থাম তো, কেবল শোয়া আর শোয়া। কলেজ শেষ হবার পর এবার কী করবি তার কিছু ভেবেছিস ? নাকি মায়ের পছন্দ করা পাত্র দেখে বিয়ে করে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সংসারের হাঁড়ি সামলাবি ভেবে রেখাছিস। শালা, আমি কিন্তু এসব কিছুই করতে চাইনা। শুধু টাকা কামাব আর দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াবো। আমার এখন সেটাই একমাত্র লক্ষ্য। আর সেটা করবার রাস্তাও আমি খুঁজে পেয়েছিরে মৌ।‘

মৌ চেয়ারটা আরও কাছে টেনে আনল। দেখে রীমার চোখ দুটো চকচক করছে। ওর হাত দুটো ল্যাপটপের কি বোর্ডের উপর। মৌ হেসে জিজ্ঞাসা করল,’ তা তুই কি চাকরীর চেষ্টা করছিস নাকি রীমা ? এখনো তো কলেজ লাইফ শেষ হয়নি, রেসাল্ট আসবে তারপর তো এসব দেখা যাবে। তোর মনে উচ্চাশা আছে সেটা আমি জানি, কিন্তু টাকা তো লোকে তোকে মুখ দেখে দেবে না, ভালো চাকরী বা ব্যবসা করলেই সেটা পকেটে আসবে, নাহলে নয়।‘ বলেই মৌ মুচকি মুচকি হাসতে থাকে। রীমা কিন্তু একটুও রিএক্ট করল না ওর কথায়। শুধু নিজের টপটা টেনে নামিয়ে বন্ধুর দিকে ইশারায় ওর উন্নত পরিপুষ্ট বুকের দিকে তাকাতে বলে বলল,’মুখ দেখে কেউ টাকা দেবে না সেটা আমিও জানিরে, কিন্তু এই দুটো আছে কিসের জন্য ? এই বুক দেখিয়েই ঘরে বসে কামাই আমি।‘

মৌ চমকে উঠল। ডান হাত মুখের উপর চেপে ধরে ফিস ফিস করে বলল,’ কী বলছিস তুই রীমা ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। বুক দেখিয়ে টাকা মানে ? কী শুরু করেছিস তুই ? আমাকে তো কিছু বলিসনি আগে। কী করছিস তুই ? আর এই এতো রাতে ল্যাপটপ খুলে বসবার মানেই বা কী ? এই বলনা, আমাকে সব খুলে বল না। প্লিস প্লিস বলনা রীমা।‘ মৌ আন্দাজ করে যে রীমা নিশ্চয়ই কোন গোপন খেলায় মেতে উঠেছে। এমনিতেই মৌ দেখেছে রীমা কলেজ লাইফে কত ছেলেকে নাচিয়ে ছেড়েছে। কিন্তু এখন আজ হটাত রীমা ‘এই বুক দেখিয়েই ঘরে বসে টাকা কামাই’ কথাটা বলল কেন ? কী করছে কী রীমা ? 

রীমা মুচকি হেসে নিচু গলায় বলল, ‘আমাদের কলেজের সেই নন্দিতাকে মনে আছে তোর ?’ মৌ একটু চিন্তা করে উত্তর দেয়,’হ্যাঁ, নন্দিতা মানে সেই বেলেঘাটার নন্দিতা তো ? হ্যাঁ, মনে আছে। কেন কী ব্যাপার? ওর কথা তুললি কেন হটাত ? ওরতো রিসেন্টলি বিয়ে হয়ে গেছে শুনেছি, ওর সাথে তোর দেখা হল কবে ?’

রীমা বলে,’দেখা হয়নি, তবে ও আমাকে বিয়ের আগের দিন রাতে যখন আমি ওর ঘরে শুয়েছিলাম তখন এই কাজের ব্যাপারে বলেছিল আর দেখিয়েছিল সব। নন্দিতা একটা ওয়েব সাইটে গিয়ে ছেলেদের থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে ওর শরীরের বিভন্ন খোলা অংশ মানে ধর আমাদের যেমন বুক, পিঠ, পাছা এমন কি আমাদের নিচের এই এটা পর্যন্ত খুলে দেখায়। গভীর রাতে ওর সব ক্লাইন্ট অন লাইনে এসে ওর প্রোফাইলে ঢোকে আর কেউ শুধু বুক কেউ আবার ওর গোটা শরীর বা কেউ হয়ত শুধু ভাজিনা দেখেই মজা পায়। একেকটা প্যাকেজের একেকটা দক্ষিণা দিতে হয়।‘

মৌ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে,’তার মানে। তুই বলছিস মেয়েরা ঘরে বসে কম্পিউটার খুলে ওদের শরীরের সম্পদ দেখাবে আর ছেলেরা শুধু সেটা দেখবার জন্য টাকা দেবে ? সেটাতো শুনেছি প্রেম ট্রেম করে যারা তারা স্কাইপে গিয়ে এসমস্ত করে। ধ্যুস, যত সব ঢপের কীর্তন। সেটা আবার হয় নাকি ? ছেলেরা কি এতই বোকা নাকি ? কী যাতা সব বকছিস রীমা। চল তো শুতে যাই।‘  

এবার রীমা আবার ধমকে ওঠে। বলে,’ তুই না একদম ওল্ড ফ্যাসানের মেয়ে। কোন জগতে আছিসরে মৌ ? আমি কি ল্যাপটপটা এমনি এমনি খুলেছি ? আজ তোকে দেখাব আমাকে কী করতে হয় আর ওরা তার জন্য কিভাবে দু হাতে টাকা ওড়ায়। আরে দেখিস না পয়সাওয়ালা লোকের ছেলেরা বার ড্যান্সারদের উপর কিভাবে দুই হাতে টাকা উড়িয়ে দেয়, এটা অনেকটা সেরকম। তবে এই কাজের জন্য তোকে ক্লাবে বা বারে যেতে হবেনা বা লোকদের সামনে জামা কাপড় খুলবার কোন প্রয়োজন নেই। এটা হল ওয়ান টু ওয়ান সেসন। পার্টি আমার একাউন্টে আগে টাকা জমা করবে আর আমি এই ল্যাপটপের ওপরের এই ক্যামেরার সামনে ভিডিও কলে মানে অন লাইনে ওদের এসব দেখাব।‘ বলে রীমা ওর স্তন দুটো নিচ থেকে চেপে তুলে ধরে আর তারপর নিচের প্যান্টির দিকে হাত দিয়ে দেখায়।

মৌ যেন ওর নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা। ও এটা কী শুনছে ? রীমা কি সজ্ঞানে এসব বলছে না মৌ একটা স্বপ্ন দেখছে। গায়ে একটা চিমটি কেটে নিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল,’ তা ওরা কত টাকা দেয় এসবের জন্য ? তুই রোজ এভাবে অন লাইনে গিয়ে এই কাজ করে আজ পর্যন্ত মোট কত টাকা কামিয়েছিসরে রীমা ? ক্লাইন্টরা তোর নাম ধাম সবাই কি জানতে পেরে গেছে নাকি ? তাহলে তো তোর সাথে দেখা করতে বাড়িতে চলে আসবে ওরা !‘

রীমা হাসে। বলে,’তোর মাথা খারাপ হয়েছে। এসব সাইটে মেয়েরা সব উল্টোপাল্টা নাম দিয়ে একাউন্ট খোলে আর ঠিকানা দিতে হয়না। শুধু অনলাইন কোম্পানি যারা এই সাইটটা চালায় তাদের আমার ফোন নম্বর আর ই মেল আই ডি দিতে হয়, সাথে ব্যাঙ্ক একাউন্ট ডিটেল। কারণ ওরা তো ওদের টুয়েন্টি পারসেন্ট কমিশন কেটে বাকি টাকাটা আমার একাউন্টে ট্রান্সফার করে, তাই সেটা জরুরী। তবে ওরা টাকা পয়সার ব্যাপারে ভীষণ পারফেক্ট, কোন জোচ্চুরি করেনা। হাজার হাজার মেয়ে আছে এই লাইনে তুই জানিস সেটা ? একেক জনের তিনশ চারশ এমনকি হাজারের উপর ক্লাইন্ট আছেরে মৌ, তুই আমি কোথায় আছি ? দুনিয়া কোথায় চলে গেছে তুই ঘরে বসে ভাবতেও পারবি না।‘

‘তাহলে ওরা ধর তোর শুধু বুক দেখতে চাইলে তুই সেটা জানবি কী করে ?’ মৌয়ের কৌতূহল মেটে না।

রীমা জবাব দেয়,’লাইভে গিয়ে ক্লাইন্টের সাথে চ্যাটিং চলে তো। তখন ওরা কে কোথা থেকে বলছে এসব আমাকে মেসেজ করে জানায়, আমি ক্লাইন্টের সাথে চ্যাট করতে করতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে গল্প করি। তখন ওরা জানায় আজ কী দেখবে। আমি শুধু নতুনদের তার জন্য ফী কত জানালে ওরা অন লাইনে টাকা ট্রান্সফার করে দেয় আর আমার এজেন্সি থেকে সাথে সাথে মেসেজ চলে আসে। এরপর আমি ওদের দেখাবার জিনিষ একে একে খুলে দেখাব। ব্যাস। যদি আমার কোন কথা পছন্দ না হয় আমি ক্যামেরা অফ করে দিতে পারি অথবা খুব খারাপ খদ্দের হলে ব্লক করে দিতে পারি।‘

রীমা কথা শেষ করেই দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল রাত বারোটা বাজে। ল্যাপটপে কাজ করতে করতেই মৌকে বলল, ‘এখন আর কথা বলিস না। তোর চেয়ারটা একটু ওপাশে ঠেলে বোস, স্ক্রীনে কিন্তু তোকে দেখা যাচ্ছে। সর সর, আমি এক্ষুনি অন লাইনে যাচ্ছি। তুই শুধু পাশ থেকে দেখে যা আমি কি করি। কোন কথা বলিস না মৌ। আমি যখন অফ লাইনে যাব তখন আবার কথা বলব। এখন সর দেখি।‘ মৌ ওর চেয়ারটা একটু সরিয়ে বসে আর রীমি অন লাইনে ওর প্রাইভেট এজেন্টের সাইটে লগ ইন করে।

মৌ দেখে ওপরে এককোণে রীমার একটা সেক্সি ফটো ও আই ডি নম্বর দেওয়া, আর নিচে নাম লেখা আছে, ”হট আই ভি“। মৌ বুঝতে পারে যে এটা রীমার ছদ্মনাম। তবে এক কোনে ওর ক্লাইন্টের সংখ্যা দেখাচ্ছে ১৭৮  আর সংখ্যাটা একটু বাদে বাদেই টুক টুক করে বেড়ে যাচ্ছে। রীমা ল্যাপটপের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। তারমানে রীমা এখন অন লাইনে আর যে কোন সময় ক্লাইন্টের চ্যাটিং শুরু হয়ে যাবে। মিনিট খানেকের মধ্যেই হটাত একজন এলো অন লাইনে। এসেই লিখল,’হাই সুইটি, তোমার সাথে কাল কথা বলার পর থেকে রাতে আর ঘুম হয়নি। কি করি বলতো ?’

মৌ দেখল রীমা ক্যামারাটা একটু সোজা করে রেখে বলল,’ গুড ইভিনিং রাজেশ। তুমি কি আমার প্রেমে পরে গেলে নাকি। দেখ বাবা, ওসব প্রেম ট্রেম করতে যেওনা আমার সাথে।‘ রীমার মুখ এবং টপ পরা বুকের নিচ পর্যন্ত স্ক্রীনে দেখা যাচ্ছে। ছেলেটার শুধু ম্যাসেজ আসছে, ওকে দেখা যায়না। তবে সে রীমাকে দেখতে পায়। স্কাইপের ভিডিও কলে যেমন সে ক্যামেরা অন করলেই অন্য দিকের মানুষকে দেখা যায়, এটা সেরকমই, কিন্তু রীমা বা মেয়েরা ক্লাইন্টের মুখ দেখতে পাবেনা এখানে। এই ব্যবস্থা ক্লাইন্টের সেফটির জন্য। এইসব মেয়েদের সাথে গভীর রাতে ভিডিও কলে চ্যটিং করে তাদের শরীর দেখাটা অনেকেই গোপনে সারতে চায়। ঠিক বাজারে মেয়েদের ঘরে পুরুষ মানুষরা লুকিয়ে লুকিয়ে যায় যেমন।

মেসেজ পড়ে রীমা কথা বলে খুব হাসছিল, ওর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে রাজেশকে উত্তেজিত করে তুলছিল। একটু বাদেই রীমা ওর জামাটা তুলতে শুরু করল। এক পাশে বসেছিল বলে মৌ ঠিক দেখতে পায়নি, ক্লাইন্ট কথা কথা বলতে বলতেই রীমার একাউন্টে পাঁচশ’ টাকা ট্রান্সফার করে দিয়েছে। রীমা ধীরে ধীরে টপটা তুলতে থাকে। ঘরের টেপ রেকর্ডারে একটা ইংরাজি মিউজিক হাল্কা ভাবে চলছিল। রীমা তার তালে তালে উঠে দাঁড়িয়ে ল্যাপটপের দিকে মুখ করে শেষ পর্যন্ত পুরো টপখানা খুলেই ফেলল। বেরিয়ে এলো ওর সুউচ্চ স্তনে সমৃদ্ধ ব্রা ঢাকা বুকটা। পাশে বসে মৌ মুখ চেপে অবাক হয়ে দেখতে থাকে।

দশ মিনিট বাদেই রীমা রাজেশ নামের ছেলেটাকে ছেড়ে এক মিনিটের জন্য ক্যামেরা অফ করে আবার অন করে আরেক জন অপেক্ষমান খদ্দেরকে একসেপ্ট করল। তবে তার আগে নিজের গায়ের টপটা আরেকবার পরে মৌয়ের দিকে তাকিয়ে হেসে শুধু বলল,’ তুই শুধু দেখে যা মৌ। এতো শুধু ব্রা পরা বুকের জন্য পাঁচশ’ টাকা। আরও কী কী হয় শুধু দেখ। কথা বলবি না কিন্তু, শুধু দেখ।‘ বলেই রীমা আগের পজিশনে গিয়ে নতুন খদ্দের হাজারি বাবুর সাথে চ্যাটিং শুরু করে। লোকটা নাকি বিহারি। আজই প্রথম ওকে সাইটে রীমা একসেপ্ট করেছে। অনেক দিন যাবত রীমাকে দেখবার জন্য পাগল। হাজারি বাবু কিন্তু শিক্ষিত, ইংরাজিতে চ্যাটিং করতে করতে সোজা রীমার উদ্ধত স্তনের দেখা পেতে চাইল। রীমা বলে উঠল,’ হাজারি বাবু, জানেন তো তার চার্জ কিন্তু এক হাজার টাকা। রাজি থাকলে আগে ট্রান্সফার করুন।‘

দুই মিনিট বাদেই ম্যাসেজ এলো টাকা জমা পড়ে গেছে। বিস্মিত মৌ দেখে রীমা আবার সেই মিউজিকের ছন্দে নাচতে নাচতে উঠে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে ওর টপ তুলতে শুরু করে দিয়েছে। ওদিকে হাজারি বাবু লিখছে আরেক টু, আরেক টু। তাড়াতাড়ি করো আই ভি। রীমা হো হো করে হেসে বলল,’আরে হাজারি বাবু, এসব কাজ ধীরে ধীরেই করতে হয়। তাহলেই তো মজা, তাই না। খুলছি , বাবা খুলছি।‘ বলে রীমা ওর টপখানা পুরোটা তুলে একটু দাঁড়িয়ে প্রথমে ওর ব্রা পরিহিত বুকটা দেখিয়ে হাসতে হাসতে বলে ওঠে,’ কী হাজারি বাবু, এটা ঠিক আছে তো ? কেমন দেখাচ্ছে বলো ?’ হাজারি বাবু ম্যাসেজ করল,’তোমার কৎবেল দুখানা দেখাও আই ভি। উফ, আমি আর পারছিনা। জলদি কর সোনামণি।‘ 

রীমা আড় চোখে একবার মৌয়ের দিকে তাকিয়ে মুখটা ঘুরিয়ে দাঁড়াল আর ওর ব্রাটা খুলে এক হাতে পিছন দিকে সেটা তুলে আরেক হাতে দুই স্তন ঢেকে এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে আসতে করে ঘুরে দাঁড়ায়, স্তন উন্মুক্ত করে। দেখে হাজারি বাবু লিখেছে,’উরি ব্বাস, ক্যা চিজ হায় তু আই ভি ! সাচ মুচ তু বহুত হট হায় মেরি জান। হাম কাল ফির আয়েঙ্গে, আমি তোমার সব কিছু দেখতে চাই।‘ রীমা ঘড়িতে দেখল প্রায় পনের মিনিট হয়ে গেছে। অন্য আরেক ক্লাইন্টের কল ওয়েট করছে, নিচের এককোনের নীল সিগন্যালটা ব্লিঙ্ক করছে। আর নীল মানেই হল রেগুলার পার্টি এবং ইতিমধ্যে টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেছে। রীমা হাজারির লাইন কাট করে ক্যামেরা অফ করে ড্রেস পরে নিলো। মৌকে বলল,’আর এক ঘণ্টা সোনা। তার পরেই আমি তোর সাথে শুচ্ছি। তুই শুধু দেখ এই এক ঘণ্টায় আমি কত কামাই।‘

একরাতের মধ্যেই এই ভাবে কাউকে শুধু ব্রা পরা বুক, কাউকে উন্মুক্ত স্তন বা কাউকে বিছানায় উঠে সমস্ত জামা কাপর খুলে নেচে নেচে পুরো সামনে পিছনের ন্যাংটো শরীর দেখিয়ে রীমা শেষে রাত দেড়টায় লগ আউট হয়ে মৌকে জড়িয়ে ধরে বলল,’ওফ মৌ, তুই চিন্তা করতে পারবি না এই লাইনে কি পয়সা ! আমি এই এক ঘণ্টায় তোর সামনেই মোট সাত জন ক্লাইন্টকে সময় দিলাম আর মোট কুড়ি হাজার টাকা কামালামরে মৌ। এভাবে আমি যদি দুই তিন ঘণ্টা সময় দেই তবে আরও বেশি রোজগার হবে। কারণ বেশি রাতে আরব কান্ট্রির ক্লাইন্টরা লাইনে ঢোকে আর সুন্দর মেয়েদের খুঁজে বেড়ায়। ওরা যেহেতু বিদেশী খদ্দের আমার এজেন্সির রেট ওদের জন্য ডবল আর আমার রোজগারও সেরকম ডবল হয়ে যায়।‘ 

কথা বলতে বলতেই রীমা ওর ল্যাপটপ বন্ধ করে আবার জামা কাপড় সব ছেড়ে উদোম হয়ে মৌয়ের হাত ধরে টান মেরে বলল,’কিরে, চল। এতক্ষন তো শুবি শুবি করছিলি, চল এবার রাত দুটো বাজে প্রায়। মৌ তখন পাথর হয়ে বসে আছে। ওর অবস্থা দেখে রীমা হেসে ওকে দাড় করিয়ে নিজেই মৌয়ের পাজামা আর টপ খুলে ফেলল। তারপর মৌয়ের নরম দেহটাকে পেঁচিয়ে ফেলে দিল ওর বিছানায়। এখন এই শীতের রাতে আজ মৌয়ের শরীরের উষ্ণতা চাই রীমার। ওর শরীর দেখে যেভাবে রীমার একেকজন খদ্দের এখন গরম হয়ে আছে, সেভাবে রীমা নিজেও আজ মৌকে নিয়ে শুয়ে গরম হতে চায়। মৌ বিছানায় , ঘরের ডিম লাইট জ্বালিয়ে রীমাও এসে শুয়ে পড়ল ওর পাশে। দরজা জানালা সব বন্ধ থাকায় ঘরটা এমনিতেই বদ্ধ হয়ে আছে, তার উপর রীমার শরীরের গরম। মৌ কিছু জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল। ওর মুখে হাত চাপা দিয়ে রীমা বলে,’আজ আর নয়, কাল সব বলব,’ বলেই মৌয়ের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ওকে বুকে আঁকড়ে ধরে রীমা।

                                                            **************

পরদিন সকালে টিফিন সেরে দুই বন্ধু আবার ঘরের দরজা আটকে বিছানায় বসে গল্প করতে শুরু করে। মৌ কাল রাতের ঘটনায় এখনো আচ্ছন্নে আছে, ভাবছে কাল ও বোধ হয় স্বপ্ন দেখছিল। ওর প্রানের বান্ধবী যে এতোটা ডেস্পারেট মৌ সেটা কল্পনাও করতে পারছিল না। জিজ্ঞাসা করল,’ এই ওয়েব সাইটে কি যে কেউ একাউন্ট খুলতে পারে ? তুই কবে থেকে এই লাইনে নেবেছিসরে রীমা, আমি তো ভাবতেই পারছিনা যে একটা অজানা অচেনা পুরুষের সামনে , মানে তার কম্পুটার স্ক্রিনে এভাবে একটা মেয়ে পুরো ন্যাংটো হয়ে দেখা দেয় আর টাকা কামায়। এই অন লাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে কি টাকা লাগে ?’

রীমা মৌয়ের কথা বলার ধরণ আর ওর চোখ মুখ দেখেই বুঝে যায় যে মৌ নিজেও এই লাইনে আসতে আগ্রহী। মৌয়ের বুকে হাত রেখে বলল,’ টাকা ফাকা কিছু লাগেনা, শুধু একটা সলিড এরকম বুক থাকলেই তোর রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। তুই ইন্টারেস্টেড হলে বল, আমার মাথায় একটা হেভি প্ল্যান এসেছে। কাল থেকেই আমি ভাবছি সেটা। আমার সাথে এই অন লাইন চ্যাটিং করে টাকা করবার লাইনে নামবি তো বল।‘

রীমার বুকের থেকেও একটু উচু আর বড় বড় স্তনে সমৃদ্ধ মৌয়ের বুকের সৌন্দর্য। রীমার যেখানে মুখের মধ্যেই একটা আলাদা আকর্ষণ আছে মৌয়ের সেটা আছে ওর বুকের খাঁচে, ওর ফেটে বেরিয়ে আসা বুকের প্রচণ্ড আকর্ষণে। ছেলেরা সাধারনত মেয়েদের স্তনের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। আর রীমা বেশ ভালই জানে ওর সাইটের আশি শতাংশ ক্লাইন্ট ওর খোলা উন্নত বুক দেখতে পারলেই খুশী। কিছু লোক আছে পুরো শরীরটা দেখতে চায় আর তার জন্য টাকা খরচ করতে পিছপা হয়না। তারা সবাই প্রধানত বিবাহিত। যুবকরা স্তনের বৃন্তের মোহে পাগল। অনেকে আবার মেসেজে ‘চুক চুক’ লিখে ওদের অনুভবের কথা জানায়।     

রীমার প্রস্তাবে মৌ রাজি হয়ে গেল। রীমা জানাল যে ও আর মৌ দুজনে মিলে রীমার এই একই আই ডি মানে “হট আই ভি” আই ডি থেকেই দুজনের প্রোগ্রাম একসাথে চালু করবে আর তাতে ওদের যৌন আবেদন মুলক উত্তেজনাকর কাজগুলি, যেটা ওরা একসাথে এক ঘরে থাকলেই করে থাকে, সেটা লাইভে দেখাবে। তার জন্য ওদের দক্ষিনাও ডবল হয়ে যাবে। রীমা দেখেছে এইরকম অন্য সাইটে কয়েকটা বিদেশী মেয়ে নাকি এই ভাবে দুজনের হোমো সেক্সচুয়াল কাজ দেখিয়ে প্রচুর ক্লাইন্ট ধরে রেখেছে। একটা সাইটে তো একজন মেয়ে ছেলেদের ড্রেসে থাকে আরেকজন মেয়েদের মত সেজে ঠিক সেরকম অঙ্গ ভঙ্গি করে সবকিছু দেখায় আর দুজনে উলঙ্গ হয়ে জড়াজড়ি থেকে শুরু করে চুমু খাওয়া যৌন সঙ্গমের ভঙ্গিতে বিভিন্ন আসন ইত্যদি সব কিছুই করে অন লাইনেই লাইভ দেখিয়ে পুরুষদের পাগল করে দেয়।

তবে রীমার এই প্রস্তাবের একটাই সমস্য হল দুজন দুই জায়গায় থাকে। তাই ভেবেচিন্তে রীমা বলল,’এক কাজ কর, তুই মাসীমাকে বল যে তুই আর আমি আমেরিকার একটা ইউনিভার্সিটির অন লাইন ট্রেনিঙে ভর্তি হয়েছি। তাই সপ্তাহে চারদিন দুজন একসাথে থেকে আমাদের এই বাড়ি থেকে ক্লাস করতে হবে। তাই তুই প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল বুধ আর শনি রবি আমাদের বাড়িতে রাতে থাকবি। আমরা আমাদের ক্লাইন্টদের জানিয়ে দেব যে দুজনের একসাথে প্রোগ্রাম শুধু এই দিন গুলিতেই হবে। বাকি দিনগুলি আমি একাই আমার ক্লাইন্টদের সামলে রাখব। কিরে , পারবিতো মাসীমাকে ম্যানেজ করতে ? তাহলে আজ রবিবার, আজই আমি আমার এজেন্সির অনুমতি নিয়ে দরদাম ঠিক করে আমার খদ্দেরদের সাথে তোর পরিচয় করিয়ে দেবা আমার বান্ধবী “মোনালিসা” বলে। নামটা আমি কাল রাতেই ভেবে রেখেছি তোর জন্য মৌ।‘

মৌ হেসে উঠল আর বলল,’ বাঃ, বেশ সুন্দর নাম রেখেছিস তো। ভালই হল, মৌমিতা থেকে ‘মোনালিসা’। আমি এখনই মাকে ফোন করে বলছি যে আমি কাল সকালে বাড়ি ফিরব। তুই তোর এজেন্সির সাথে কথা বার্তা শুরু করে দে। আর সাইটে আমাকে প্রথম দিন দেখাতে হলে তার জন্য আগে তোর একটা ভাল ড্রেস বের করে রেডি করে রাখ। আজ রাতেই আমি মাঠে নামছি তোর সাথে।‘ বলেই হেসে ফেলে মৌ। রীমা মৌকে জড়িয়ে ধরে একটা লম্বা চুমু দিয়ে নেয়।

আজ প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে মৌ আর রীমা ওদের নতুন ভেঞ্চারে মেতে উঠেছে। মৌ কথামত ওর মাকে বুঝিয়ে রাজি করেছে আর এদিকে রীমা ওর বাবা মাকে সেরকমই একটা গল্প বানিয়ে বলেছে যে এখন থেকে মৌ প্রতি মঙ্গল বুধ আর শনি রবি ওদের বাড়িতেই থাকবে। মৌয়ের নাম ‘মোনালিসা’ আর রীমার অনেক ক্লাইন্ট ওদের এই ডবল ধামাকার অনুষ্ঠানে দারুণ মজা পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রীমার ক্লাইন্ট সংখ্যা বেড়ে সাড়ে পাঁচ’শ হয়ে গেছে। বেশীর ভাগই কলকাতা বা পশ্চিম বাংলার। রীমা যেহেতু বাংলা, হিন্দি আর ইংরাজিতে ক্লাইন্টদের সাথে কথা বলে তাই বাংলাদেশ, পাকিস্থান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও দুবাই থেকে ওর খদ্দেররা রাত হলেই অন লাইন বুকিং শুরু করে দেয়। ডবল ধামাকার ফী এখন চলছে কুড়ি মিনিটের জন্য আট হাজার টাকা। তিনমাসের মধ্যে ওর একাউন্টে আশি হাজার টাকা ঢুকে যায়, মৌর নেশাও বেড়ে যায়।

রীমার ক্লাইন্টরা প্রায় কেউই তাদের আসল নাম জানায় না। রীমা সেটা ভালই জানে। তবে সেই সমস্ত পুরুষদের মুখ বা শরীর দেখতে ওরা কেউই ইন্টারেস্টেড নয়। ওদের ক্লাইন্টদের ওরা দুজন দারুণ দারুণ সেক্সি কথা বার্তা বলে, অঙ্গভঙ্গি করে ও শরীরের ভরা যৌবন দেখিয়েই দুজনে আনন্দ দেয়। কোন ক্লাইন্টের কি বয়স, কেমন দেখতে সেটা ওদের আকৃষ্ট করেনা যতটা ক্লাইন্টের টাকা পয়সা আকৃষ্ট করে থাকে। তবে বাস্তবে ওদের বেশীর ভাগ ক্লাইন্টই কুড়ি থেকে তিরিশের ঘরে, কয়েকজন মধ্যবয়সী বাদে। এই মধ্য বয়সীরা বেশীর ভাগই বাঙ্গালী ও পশ্চিম বঙ্গের মানুষ।

‘হট আই ভি’ ও ‘মোনালিসার’ ডবল ধামাকা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল। এরপর ওদের যে কোন একজনকে এক রাতের জন্য বুক করবার জন্য বেশ কয়েকজন ক্লাইন্ট বার বার অনুরোধ পাঠাতে থাকে। তাদের মধ্যে একজন মাঝ বয়সী লোক, নাম কুণাল বোস নিজের ফটো দেখাল ওদের সাথে চ্যাটিঙের সময়। দারুণ সুন্দর হ্যান্ডসাম চেহারা লোকটার। ফর্সা, মুখে সরু করে চাপদাড়ি রাখা, মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল বিপত্নীক পয়সাওয়ালা মানুষটা থাকে বালিগঞ্জে। রীমার অনেক দিনের খদ্দের কুণাল বোস। রীমাকে সে শুধু এক রাতের অতিথি হিসাবে পাবার জন্য পাগল।

মৌয়ের কিন্তু কুণাল বোসের চেহেরা ও রীমার প্রতি এতোটা আকর্ষণ খুব ভালো লেগে যায়। রীমাকে বোঝায় যে লোকটা যখন ওকে এক রাতের জন্য তিরিশ হাজার টাকা অফার করছে তখন ওর রাজি হয়ে যাওয়া উচিত। কি আছে, একটা রাত না হয় শোবে ওই বিপত্নিক মানুষটাকে খুশী করবার জন্য। কিন্তু রীমা কিছুতেই রাজি হয়না। শেষে মৌয়ের এতো আগ্রহ দেখে বলল,’ এক কাজ কর মৌ, তুই যদি যেতে চাস তো বল আজ রাতেই আমি তোর জন্য ওর সাথে প্রোগ্রাম ফিক্স করে দিচ্ছি। কুণাল বাবু তো তোকে চেনেই, দেখেছে। তোকে শুধু শিয়ালদা মেইন ষ্টেশনের টিকিট কাউনটারে গিয়ে ঠিক সময় মত দাঁড়াতে হবে। ওখান থেকেই লোকটা আমাকে তুলে নিয়ে যাবে আর সকালে ছেড়ে দেবে বলেছিল। তুই যাবি তো বল।‘  

মৌয়ের প্রচণ্ড আগ্রহ শেষ পর্যন্ত ওকে গোপন দেহ ব্যাবসার পথে টেনে নামাল। এক সোমবার সন্ধ্যার পর রাত আটটার সময় নীল জিন্সের প্যান্ট আর আকাশি রঙের টপ পরে মৌ গিয়ে দাঁড়াল শিয়ালদা মেইন ষ্টেশনের বুকিং কাউনটারের সামনে। দারুণ সুন্দর চেহারার কুণাল বোসের ফটো আগেই দেখেছে মৌ। রাত সোয়া আটটার সময় কুণাল বোস এসে দাঁড়ায় আর ইঙ্গিতে ওর পিছনে আসতে বলে মৌকে। মৌকে নিয়ে বাইরে পারকিঙ্গে রাখা হণ্ডা সিটি গাড়িতে কুণাল বোস চলে আসে তার বালিগঞ্জের বিশাল বড় বাড়িতে। খালি বাড়িতে সুন্দর করে সাজানো ঘরটায় প্রাচুর্যের ছড়াছড়ি। মৌ লোকটার ভদ্র ও সভ্য ব্যাবহারে ভীষণ খুশী হয়। দুই পেগ ড্রিংকসের পর ডিনার করে মৌকে নিয়ে শুয়ে পরে কুণাল। সারারাত ধরে মৌকে আদরে আদরে ভরিয়ে তোলে। মৌ ওর জীবনের প্রথম পুরুষ সঙ্গের সুখে বিভোর হয়ে যায়। শারীরিক মিলনের আনন্দে যে এতো স্বর্গীয় সুখ সেটা ভেবেই মৌ পাগল হয়ে যায়।  

ঠিক ভোর সাড়ে ছ’টায় শিয়ালদার সেই একই জায়গায় মৌকে নামিয়ে দিয়ে যায় কুণাল বোস। বাড়ি থেকে বের হবার সময়ই ধনি বিপত্নিক মানুষটা বলেছিল যে মৌ ওকে আজ যেই সুখ দিল সেই সুখের জন্য কুণাল আবার একদিন ওকে বিছানায় পেতে চায়। মৌ মিষ্টি করে হেসে বলে,’ আমি আবার আসব, কথা দিচ্ছি।‘  

রীমার সাথে পরিবর্তী সাক্ষাতে মৌ ওকে সব খুলে সেই রাতের বর্ণনা দিল। রীমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,’ উফ রীমারে, কি যে সুখ তোকে আমি কি বলব। আহা, মনে হয় এতদিন কেন এসব শুরু করিনি। শুধু কি টাকা, শরীর যে কত আনান্দ পায় সঙ্গমে তোকে আমি বোঝাতে পারব নারে রীমা। আমি কুণালকে কথা দিয়ে এসেছি ও আবার যখন ডাকবে আমি যাব ওর কাছে। লোকটার বৌ মারা গেছে দু বছর আগে। এতদিন নাকি একেবারেই অভুক্ত হয়ে দিন কাটিয়েছে। এবার আমাকে পেয়ে পাগল হয়ে গেছে। আমি নাকি সেক্সের ব্যাপারে একেবারে ফাটাফাটি। আমি নিজেই কিন্তু সেটা জানতাম না, জানিস ?’

রীমা মৌয়ের সাথে ওদের প্রোগ্রাম চালাতে চালাতে ঠিক করল ওর এক রেগুলার অবিবাহিত ক্লাইন্ট দেব রায়, যে ওকে অসম্ভব ভালোবাসে আর রীমাকে একবার বিছানায় পাবার জন্য পাগল, তার সাথে একদিন একটা প্রোগ্রাম ফিক্স করবে। কারণ রীমা লক্ষ্য করল মৌ এই কুণাল বোসের সাথে দেখা করবার পরেই কেমন যেন পাল্টে গেছে। এখন আবার তার সাথে বা অন্য কোন ক্লাইন্টের সাথে শোবার জন্য ছটফট করছে। কুণাল লোকটা শুধু মৌকে পাল্টে দেয়নি, ওদের জুটিটাও ভেঙে দিয়েছে। মৌ আজাকাল রীমার দেহের আহ্বানে অতোটা সাড়া দেয়না। কেমন যেন একটা ভেজিটেবিল হয়ে থাকে বিছানায়। রীমার ভালো লাগে না। এবার রীমা নিজেও শারীরিক সুখের আস্বাদ পেতে  চায়।

দেব রায়ের বয়স জানিয়েছিল আটাশ বছর। কলকাতায় একটা বিদেশী কোম্পানিতে উচু পদে চাকরী করে। রীমার বয়স এখন তেইশ। দেব ওকে যে ছবি পাঠিয়েছে সেটা দেখে এবং ওর সাথে রাতের পর রাত চ্যাটিং করে, খোলা বুকে দেবের খুশীর জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে রীমাও এখন অন্য ক্লাইন্টদের প্রায়ই এভয়েড করে। দেব বলেছে  যদি কাউকে বিয়ে করে তবে রীমাকেই করবে নতুবা করবেই না। দেবের এই অন লাইনে ভালোবাসা রীমাকেও ভীষণ ভাবে ভাবিয়ে তোলে। জীবনের আসল লক্ষ্য কী সেটাই এখন ওকে বেশি ভাবায়। শুধু শরীর দেখিয়ে টাকা কামালে কি চলবে ? বিয়ে করতে হবে না, সংসার করতে হবে না ?

রীমার সাথে মেট্রো হলের নিচে বৃহস্পতি বার সন্ধ্যায় প্রথম দেখা হল দেব রায়ের। ওর মোটর সাইকেলের পিছনে বসিয়ে ওরা সোজা চলে আসে পদ্মপুকুরে দেবের এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে। বন্ধু সপরিবারে দিল্লী গেছে এক বিয়ের নিমন্ত্রনে। ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে গেছে দেবকে। দেব সেই সুযোগটা নিয়ে রীমাকে নিয়ে চলে আসে সেখানে। রীমার সিল্কের শাড়ী পরা লম্বা ফর্সা সুন্দর চেহেরা দেবকে আগে থেকেই পাগল করে রেখেছিল। আর আজ সারারাত ওকে আদর করে রীমার নরম শরীরটাকে ভোগ করে আবার এই সোমবারের জন্য বুক করে ফেলল। রীমার নিজেরও ওর শরীরের সাথে মিশে যেতে ভীষণ ভালো লেগেছে আজ। ভাবে মৌ একদম ঠিক বলেছে, এই সুখের তুলনা নেই। রীমা রাজি হয়ে যায়, সোমবার মেট্রোর নিচে ও দাঁড়াবে।

এসবের কিছুই জানতে পারল না মৌ। রবিবার রাতের প্রোগ্রাম শেষ করে ও সোমবার মানিকতলায় ফিরে যায়। এদিকে মাকে দাদা আজ বন্ধুর বাড়িতে থাকবে বলে গেছে। মৌয়ের কাছে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রীমা এসে দাঁড়ায় মেট্রোর নিচে। একটু বাদেই চলে আসে দেব রয়। দুজনে আবার এসে পৌছয় পদ্মপুকুরে। দেবের ঘরে ঢুকে রীমা ব্লাউজের হুক খুলতে গেলেই দেব বাঁধা দেয়। বলে,’ দাঁড়াও আই ভি, আজ একটা নতুন জিনিষ করব। আমি তোমার চোখ বেঁধে মুখ রুমালে ঢেকে হাল্কা নীল লাইটটা জ্বেলে রাখব। তারপর তুমি জামা কাপড় খুলতে থাকবে। আমিতোমাকে বিছানায় শুইয়ে ওপরদিকে হাত বেঁধে রাখব। তারপর তোমার সমস্ত শরীরটা আদরে আদরে ভরিয়ে দেব আজ। এটাই আজকের প্রোগ্রাম।‘

রীমা দেখেছে ইংরাজি সিনেমায় এরকম ভাবে সেক্স করে বিদেশীরা। এতে নাকি চূড়ান্ত মজা পাওয়া যায়। রীমা সাহসী মেয়ে। দেবের কথায় সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। ছেলেটার সাথে এক রাত কাটিয়েই রীমা বুঝেছে যে ও রীমাকে দারুণ ভালোবাসে। ওর কথায় রীমা কোন দোষ খুঁজে পেল না। কি আছে, এভাবেও তো দুজন দুজনের শরীরের সাথে মিলে মিশে একাকার হওয়া যায়। আজ ওরা এই বিদেশী ধাঁচের সেক্সে মেতে উঠবে। দেখবে এতে কতটা মজা হয়।

দেব রীমার চোখে একটা কাপড় ও মুখে হাল্কা একটা রুমাল বেঁধে দিল। রীমাকে বলল,’ আমি একটু আসছি। ঘরের বাথরুমে যাবার আওয়াজ পেল রীমা। একটু বাদেই ফ্ল্যাশ হল আর দরজাও খুলল। ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিল দেব। বলল,’ নাও, এবার একটা একটা করে তোমার শাড়ী ব্লাউজ সব খুলতে থাক আই ভি। আমি লাইট নিভিয়ে দিয়েছি, শুধু নীল লাইট জ্বলছে। শুরু কর তুমি। তারপর আমি তোমাকে বিছানায় নিয়ে যাব আর হাত বেঁধে দেব, ঠিক আছে সোনা ?’

রীমা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। হেসে বলল,’ ঠিক আছে দেব। আমি শুরু করছি।‘ বলে লাইভে যেভাবে একে একে জামা কাপড় সব খুলে ফেলে সেভাবেই রীমা ওর সব খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপরই দেব ওকে ধরে ধরে বিছানায় শুয়ে দিয়ে হাত দুটো ওপরে তুলে দড়ি দিয়ে লোহার খাটের রডের সাথে বেঁধে ফেলে। রীমা বুঝতে পারে ওর শরীর নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছে ওর ভালোবাসার মানুষ দেব রয়। একটু বাদে রীমার শরীর কেঁপে কেঁপে ওঠে। মুখ দিয়ে বের হয় ‘উহ আহ…ওফ দেব…উফ, আরো …হ্যাঁ…আরো জোরে দেব। আমাকে আজ মেরে ফেল। … আহ…আহ…।‘ মিলনের আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে রীমা। এ যেন এক অবর্ণনীয় স্বর্গীয় সুখ।

কিছুক্ষন বাদে রীমা ভাবে দেব বোধ হয় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। রীমা তখন নিজেও ওর উদাম শরীর বেঁকিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে থাকে। হাল্কা নীল আলোয় দেখা যায় বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো উলঙ্গ রণিত, রীমার অবিবাহিত দাদা। রণিত দেবকে ইশারায় আলো জ্বালতে বলে। এবার রণিত চমকে ওঠে। এ ও কী করেছে আজ ? এ তো রীমা, ওর ছোট বোন ? লজ্জায় জামা প্যান্ট তুলে নিয়ে মুখ ঢেকে ঘর থেকে বের হয়ে যায় রণিত। দেব আলো নিভিয়ে দেয়। রীমা তখন গভীর ঘুমে ঢলে পড়েছে।

বাড়ি ফিরেই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় রণিত। কাল রাতে রীমার গলার আওয়াজ শুনে ওর সন্দেহ হয়েছিল একবার। কিন্তু ভেবেছিল অন্য কোন মেয়ে হবে, রীমা এখানে আসবে কোত্থেকে। রীমার পাছায় ডানদিকে একটা তিল আছে রণিত জানত। ভোর বেলা দেব লাইট জ্বালাতেই রণিত দেখতে পায় সেই তিল। মুহূর্তের মধ্যে রণিত নিজের ভুল বুঝতে পাড়ে এবং লজ্জায় ওর মাথা হেট হয়ে যায়, বেরিয়ে সোজা চলে যায় বেলুরে নিজের বাড়িতে। ওদিকে রীমাও বেলা দশটায় বাড়িতে ফিরে এসে চান করে টিফিন সেরে নেয়। তখন এদিকে অনেক বেলা অবধি ঘরের দরজাও খুলছে না আর দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করে ডাকলেও কোন সাড়া দিচ্ছে না রণিত। বাড়ির সবার কেমন যেন সন্দেহ হয়। স্থানিয় থানায় খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষন বাদে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে সিলিং ফ্যানে বাঁধা দড়ি থেকে  ঝুলে রয়েছে রণিতের মরদেহ। নিজের বিবেকের দংশনে লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে রণিত।

আজ মঙ্গলবার, মৌ আজ সকালেই চলে এলো রীমার দাদার আত্মহত্যার খবর পেয়েই। পুলিশ এসে বাড়ি থেকে রণিতের মরদেহ নিয়ে গেল মর্গে পোস্ট মরর্টেম করবার জন্য। রণিতের বাবা, মা , রীমা এমনকি মৌ নিজেও কান্নায় ভাঙ্গে পড়ল। রণিতের দেহ নিয়ে যাবার পর সারা বাড়িতে নেমে এলো একটা বিষন্নতার ছায়া। সবাই চুপ করে বসে রইল সামনের ঘরে। আত্মীয় স্বজনরা এসে ওদের সান্ত্বনা দিতে থাকে।

মাঝরাতে মৌ আর রীমা সামান্য কিছু খেয়ে ওপরের রীমার ঘরে গিয়ে খুব লো ভল্যুমে আবার খুলে বসল ‘হট আই ভির’ লাইভ টেলিকাষ্ট প্রোগ্রাম, “ডবল ধামাকা”। দ্য সো মাস্ট গো অন।

                ………. শেষ ………..

* ছবি সৌজন্যে – গূগূল।